বাংলাদেশে
উদযাপিত হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার কেন্দ্র
রেডিও রিপাবলিক ইন্দোনেশিয়া
(আরআরআই)-এর ৭৪তম
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।
বুধবার
চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল
স্কুল এন্ড কলেজ
মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন
করে আরআরআই ওয়ার্ল্ড
সার্ভিস ভয়েস অব
ইন্দোনেশিয়ার বাংলাদেশস্থ জাতীয়
শ্রোতা সংগঠন “ভয়েস
অব ইন্দোনেশিয়া ডিএক্সার’স
ফোরাম বাংলাদেশ (ভিওআই-ডিএফবি)”।
সংগঠনের
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও
আরআরআই-ভিওআই এর
“ওয়ান্ডারফুল ইন্দোনেশিয়া ইন্টারন্যাশনাল
কুইজ ২০১২” বিজয়ী
দিদারুল ইকবালের পরিচালনায়
এবং সংগঠনের উপদেষ্টা
ও বাংলাদেশ সরকারের
সাবেক যুগ্ম সচিব
মো: ওসমান গণীর
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন, জাতীয় সম্প্রচার
কেন্দ্র বাংলাদেশ বেতারের
পরিচালক ড. মির
শাহ আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশস্থ
ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসের তথ্য,
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক
বিষয়ক তৃতীয় সচিব
মিসেস মুরনি ন্যারিস্তি,
চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল
স্কুল এন্ড কলেজ,
ঢাকা এর প্রতিষ্ঠাতা,
চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ
ড. সালেহা কাদের।
অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে
জাতীয় সম্প্রচার কেন্দ্র
বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক
ড. মির শাহ
আলম বলেন, “বাংলাদেশ
ও ইন্দোনেশিয়ার মানুষের
মধ্যে এখনো জ্ঞান
সংক্রান্ত ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা
রয়েছে। এক্ষেত্রে
রেডিও রিপাবলিক ইন্দোনেশিয়া
(আরআরআই) একটি গুরুত্বপূর্ণ
মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা
পালন করতে পারে। রেডিও রিপাবলিক
ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলা
ভাষার অনুষ্ঠান সম্প্রচার
চালু করলে বাংলা
ভাষার ব্যাপক জনগোষ্ঠী
ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কে আরো
স্বচ্ছ ধারণা পবে
এবং উভয় দেশের
মানুষের মধ্যে সৌহাদ্য
বৃদ্ধি পাবে।
আরআরআই কর্তৃক্ষকে বিষয়টি
গুরুত্বের সাথে বিবেচনা
করার আহবান জানাচ্ছি”।
বিশেষ
অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশস্থ
ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসের তথ্য,
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক
বিষয়ক তৃতীয় সচিব
মিসেস মুরনি ন্যারিস্তি
বলেন, উভয় দেশের
জনগণ এখনো একে
অপরকে ভালো ভাবে
জানেনা। এটি
একটি বড় বাধা। অনেক বাংলাদেশী
মনে করে ‘বালী
দ্বীপ’ মানে ইন্দোনেশিয়া,
যদিও তা সঠিক
নয়। অথচ
ইন্দোনেশিয়া হচ্ছে বাংলাদেশের
পঞ্চম বৃহত্তম বাণিজ্যিক
অংশীদার। এর পরও
আমরা কেউ কাউকে
ভালো ভাবে জানিনা
শুধু বাণিজ্য করি। কিন্তু আমাদের
মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশ্য
রয়েছে। আমিও
আপনাদের সাথে একমত,
বাংলাদেশের তথ্যগুলো ইন্দোনেশিয়ান
ভাষায় অনুবাদ করে
প্রচার করার যেমন
গুরুত্ব রয়েছে তেমনি
ইন্দোনেশিয়ান তথ্যগুলোও বাংলা
ভাষায় অনুবাদ করে
প্রচার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের
উভয়ের জন্য অতি
জরুরি। আমি
আপনাদের মতামতগুলো যথাযথ
ভাবে তুলে ধরবো,
যাতে আগামী বছর
থেকে কিছু অনুষ্ঠান
বাংলায় এবং কিছু
অনুষ্ঠান ইন্দোনেশিয়ান ভাষায়
সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা
হয়। এ
বছর ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাস
সাংস্কৃতিক কেন্দ্র চালু
করেছে। যার
মাধ্যমে প্রতি শনিবার
সকাল ১০টা থেকে
বাংলাদেশীদের জন্য ইন্দোনেশিয়ান
ভাষা ও ঐতিহ্যবাহী
মার্শাল আর্ট ফ্রি
শিখানোর ব্যবস্থা চালু
করেছে।
অনুষ্ঠানে
স্বাগত বক্তব্য দেন,
সংগঠনের উপদেষ্টা ও
বাংলাদেশ সরকারের সাবেক
যুগ্ম সচিব মো:
ওসমান গণী।
এরপর অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়া
থেকে ভিডিওতে শুভেচ্ছা
বাণী দেন, রেডিও
রিপাবলিক ইন্দোনেশিয়া (আরআরআই)-
ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ভয়েস
অব ইন্দোনেশিয়ার পরিচালক
আগুং সুসাত্যো।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন,
ভয়েস অব ইন্দোনেশিয়া
ডিএক্সার’স ফোরাম
বাংলাদেশ-এর উপদেষ্টা,
সিনিয়র সাংবাদিক ও
লেখক সৈয়দ রেজাউল
করিম বেলাল।
রেডিও রিপাবলিক ইন্দোনেশিয়া
(আরআরআই)-এর ঐতিহাসিক
পটভূমি এবং এর
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
তুলে ধরেন, সাউথ
এশিয়া রেডিও ক্লাব
(সার্ক) বাংলাদেশ এর
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য
মো: ইয়াকুব আলী। এছাড়া মুক্ত
আলোচনায় অংশ নেন
ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসের সামাজিক-সাংস্কৃতিক
ও তথ্য সহকারী
এবং সংগঠনের উপদেষ্টা
মো: সিরাজুল ইসলাম,
শ্রোতাদের মধ্যে অংশ
নেন টাঙ্গাইলের আবু
তাহের, চুয়াডাঙ্গার মো:
হায়দারুল ইসলাম, সাউথ
এশিয়া রেডিও ক্লাব-
শরীয়তপুর জেলা শাখার
সাধারণ সম্পাদক মো:
রফিকুল ইসলাম, রাজশাহীর
মো: আব্দুস সালাম
প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে
অতিথিরা কেক কেটে
রেডিও রিপাবলিক ইন্দোনেশিয়া
(আরআরআই)-এর ৭৪তম
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
করেন। শ্রোতাদের
জন্য নির্ধারিত কুইজ
পর্বে প্রথম পুরস্কার
বিজয়ী হয়েছেন মো:
আসাদ হোসেন, দ্বিতীয়
বিজয়ী এম আলম
এবং তৃতীয় বিজয়ী
মিতু ফারিয়া।
অনুষ্ঠানের শেষে প্রধান
অতিথি ও বিশেষ
অতিথিদের হাতে সম্মাননা
স্মারক তুলে দেন
চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল
স্কুল এন্ড কলেজের
প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ও
অধ্যক্ষ ড. সালেহা
কাদের।
অনুষ্ঠানে
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত
ছিলেন, জয়যাত্রা টেলিভিশনের
অনলাইন এডিটর শাহাদাৎ
হোসেন আশরাফ ও
বিশেষ প্রতিনিধি জিএম
শাজাহান, ইউপিইএইচএসডিপি’র
কনসালটেন্ট জাহিদুল হক
খান, সংগঠনের সাংগঠনিক
সম্পাদক মো: মাহাবুবুর
রহমান, মো: আক্কাস
হোসেন, হেলাল মোল্লা,
এম. আলম, রেমাশ
আন্তর্জাতিক বেতার শ্রোতা
সংঘের সাধারণ সম্পাদক
মো: কবির হোসেন,
আবুল হোসেন, সাউথ
এশিয়া রেডিও ক্লাবের
সদস্য শাওন খান
ও এটিএম আতাউর
রহমান রঞ্জু, ইব্রাহীম
মাহমুদ, আলী মাহমুদ
রাব্বি, মাকসুদুল আলম
খান, রাজিয়া সুলতানা,
মো: শাহাদাত হোসেন,
বাধন রুদ্র, হাফিজুর
রহমান সাইমন, মো:
ইয়াকুব আলী সরকার,
সিফাত আহমেদ, সুমন
হোসেন, কবি লাভলী
বাসার, আমিনুল ইসলাম
রানা, মো: নাজমুল
করিব, মোজাফ্ফর হোসেন
শুভ, আব্দুল হান্নান,
ফকির শফিকুর রহমান,
মিতু ফারিয়া প্রমূখ।